পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালী পৌর বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিবছর ২২ লক্ষ টাকা ইজারা নেয় পটুয়াখালী পৌরসভা। তবে এই ২২ লক্ষ টাকা ইজারা নিলেও কোন কাজ হয় না পৌর বাস টার্মিনালটিতে। নেতারা নির্বাচনের আগে অনেক আশ্বাস দিলেও নির্বাচন শেষ হলে তা ভুলে যায়।
প্রতিদিন পটুয়াখালী থেকে ঢাকা ও অভ্যন্তরীন রুটে প্রায় ৫’শ থেকে ৬’শ বাসে প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। তবে যাত্রীদের জন্য নেই কোন বসার স্থান, নেই কোন পয়ংনিষ্কাশনের ব্যবস্থা।
নদী-নালায় পরিনত হয়েছে এই পৌর বাস টার্মিনালটি এমনটাই বলছিলেন পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা। পত্র আহ্বান করা হবে সেজন্য আমরা ওখানে বেশি টাকা খরচ করতে পারি না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নোংরা পানি, কাঁদা, যাত্রীদের দুর্ভোগ, জলাবদ্ধতা, এরই মাঝে চলছে টিকেট বিকিকিনি ও যাত্রী ওঠা নামা। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে চলে এ কার্যক্রম। ২০০৯ সালে পটুয়াখালী পৌর শহর থেকে সরিয়ে নিয়ে আশা হয় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে।
গত ৫ বছরে পটুয়াখালী পৌর শহরের ব্যপক উন্নয়ন হলেও তার ভিন্ন রুপে ফুটে উঠে পটুয়াখালী পৌর বাস টার্মিনাল।
এই ২০০৯ সালের পর থেকে কোন উন্নয়ন এর ছোঁয়া পায়নি এই পৌর বাস টার্মিনালটি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যেমন বেড়েছে যাত্রী সমাগম তেমনি বেড়েছে বাস। তবে বর্ষা মৌশুম শুরুতেই ময়লার ভাগারে পরিণত হয় এটি।
বাস মালিক সমিতি বলছে, আমরা নিজেদের উদ্যগে যাত্রীদের জন্য আধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা করেছি। টিকিট কাউন্টারের সামনে বালু ফেলে যাত্রী।