বরিশাল অফিস :: পিরোজপুরের কাউখালীতে পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম, বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা, ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। যতই দিন যাচ্ছে সবজি, পিঁয়াজ, কাঁচা মরিচের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, কোন পদক্ষেপ নিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতিটি সবজির দাম ১৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
শনিবার ১৩ জুলাই উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি হাটবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে। প্রতি কেজি পিঁয়াজ ১১০ টাকা, রসুন ২৩০ টাকা, আদা ৪০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, করলা ১৩০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুর গাটি ৮০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া যে কোন ধরনের শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। দক্ষিণ বাজারের সবজি বিক্রিতা গোলাম রসুল ও উত্তর বাজারের সবজি বিক্রিতা কাবুল হোসেন বলেন, সবজির বাজার স্থিতিশীল নয়, বন্যা ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টিতে সবজির ক্ষেত্রে ক্ষতি হওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে তেমন কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় বাজারে সবজির দাম বেশি। আমাদের বেশি দামে মোকাম থেকে ক্রয় করতে হয়।
ফলে আমাদেরকে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। দিনমজুর শুকুর আলী ও শ্যামল বড়াল আক্ষেপ করে বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই মাছ-মাংস কেনা বন্ধ করে দিয়েছি, খেতাম একটু সবজি তাও এখন আমাদের পক্ষে কিনা সম্ভব না। সবজি দিয়ে ভাত খাব তার উপায় নেই। সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের মত মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিদের কষ্টের কোন শেষ নাই।
ভুক্তভোগীরা বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। বাজার মনিটরিং জোরদার করা হলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম সকলের নাগালে ভিতরে চলে আসবে। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, আমরা বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করব। যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যমূল্যর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।