শিরোনাম

পটুয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত ২০৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারে নেই উদ্যোগ

Views: 87

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ঘূর্ণিঝড় রিমালে পটুয়াখালীর দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এসব প্রতিষ্ঠান সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠালেও এখনো মেলেনি বরাদ্দ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানেই অথবা বিদ্যালয়ের বাইরে জোড়াতালি দিয়ে চালাতে হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

চলতি বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে পটুয়াখালীসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে জেলার ৮৪ হাজার ৫০০ পরিবারের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পূর্ণ ও আংশিক বিধ্বস্ত হয় প্রায় ৩৮ হাজার ঘরবাড়ি। প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা। প্লাবিত হয় হাজার হাজার পুকুর ও মাছ-কাঁকড়ার ঘেড়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় দীর্ঘদিন বিদ্যুৎহীন থাকে অনেক এলাকা। চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আংশিক বিধ্বস্ত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। এরই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার ২০৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ।

ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত কিংবা পুনর্নির্মাণে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে স্থাপন প্রকল্পে চাঁদাবাজির অভিযোগ

জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলার কলাপাড়ায় ৪৯টি, গলাচিপায় ৪২টি, সদর উপজেলায় ৩৪টি, দশমিনায় ২৯টি, বাউফলে ২২টি, মির্জাগঞ্জে ১৬টি, দুমকীতে ৮টি, রাঙ্গাবালীতে ৭টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার চালিতাবুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলাপাড়া উপজেলার মেহনাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। রিমালের তান্ডবে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো দুমড়ে-মুচড়ে মাটিতে পড়ে যায়। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের উপযোগিতা একদম না থাকায় চালিতাবুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীকে পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের সাইক্লোন শেল্টারের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে। কোনো ভবন না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের পাশেই মাঠে চলছে মেনহাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

চালিতাবুনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র শীল ও মেনহাজপুর হাক্কানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফউজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের ভবন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো কোনো বরাদ্দ পাইনি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মজিবুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ২০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান মেরামতে প্রয়োজন সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *