পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দুমকিতে মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় মেয়ে ও স্কুলশিক্ষক বাবাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মাসুম নামের এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুরে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে বাবা ও মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষক মো. শাহ ইয়ার গাজীর সরকারি জনতা কলেজের ছাত্রী উম্মে হানীকে (১৭) যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন একই এলাকার এলেমদ্দীন হাওলাদারের মেয়ের ঘরের নাতি মাসুম (২০)। মাসুমের বাবা মো. লিটন শ্বশুরবাড়ি থাকার সুবাদে একই এলাকায় তাদের বসবাস।
প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরে উম্মে হানী প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফেরার পথে বখাটে যুবক মাসুম পথ আটকে প্রেমের প্রস্তাব দেন এবং বলেন প্রস্তাবে রাজি না হলে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করবেন। মাসুমের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় উম্মে হানীকে মারধর করেন এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে বাবা শাহ ইয়ার গাজী প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনা কারও কাছে বলাবলি করলে উম্মে হানীকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক বলে পুলিশি হয়রানি করবেন বলে জানান। এ ঘটনায় দুমকি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মাসুমের বাবা লিটন খান বলেন, উত্ত্যক্ত বা শ্লীলতাহানির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো আমার ছেলেকে ওই মেয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেন আমার ছেলে তা প্রত্যাখ্যান করায় উল্টো আমার ছেলেকে তারা মেরেছে।
এদিকে তথ্য জানতে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা দুমকি থানার এসআই মাসুদকে ফোন দিলে তিনি জানান, কোনো ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি কথা কাটাকাটি ও উভয়পক্ষে মারামারি হয়েছে।
দুমকি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।