বুধবার (৩১ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল সামাদ।
তিনি বলেন, ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকা ও নরসিংদী পৌর এলাকায় অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বাদে দেশের অন্যান্য এলাকায় স্কুল খুলে দেওয়া হবে। এই এলাকার বিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ক্লাসের সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের রুটিন অনুযায়ী পাঠদান চলবে। তবে সংশ্লিষ্ট জেলার কারফিউর সময় অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের সময় কমানো কিংবা বাড়ানো যাবে। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্ধারণ করবেন।
এর আগে, কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যদিও জুলাইয়ের শুরুতেই পেনশন এবং কোটা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেলে পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে আসে শিক্ষাব্যবস্থায়। গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুর হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে যায় সারা দেশে। একপর্যায়ে ব্যাপক সংঘাতে শিক্ষার্থীসহ ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, আহত হয় কয়েক হাজার মানুষ।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩ কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে আরো প্রায় ৩০ লাখ শিক্ষার্থী। এভাবে টানা বন্ধের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় প্রায় সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।