বরিশাল অফিস :: নিয়মিত মেরামত না থাকায় মাসকাটা নদীর ভারি জোয়ার, প্লাবন ও জলোচ্ছ্বাসে অনেকটা বিলীন হয়ে গেছে বরিশালের গ্রামরক্ষা বাঁধ। এ কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ১৬ গ্রামের মানুষ। অনেক স্থানে গ্রাম থেকে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদীতে ধসে যাওয়ায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জর অন্তত ১৬টি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। জোয়ারের পানি ঢুকছে লোকালয়ে। গ্রামের চারিদিকে নদী। বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সামান্য জোয়ারে তাঁদের বাড়িঘর তলিয়ে যায়। বাঁধ ভাঙায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সব স্থানের মানুষ।
মাটির তৈরি এই বাঁধগুলো রাস্তা হিসেবেও ব্যবহার হতো। জাংগালিয়া ইউনিয়নের সাড়ে ৩ কিলোমিটার বাঁধ ধসে যাওয়ায় লেংগুটিয়া থেকে আমিরগঞ্জের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর উত্তরেও একই অবস্থা।
এই এলাকার বাসিন্দারা জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় রাস্তাহীন হয়ে পড়েছেন জাংগালিয়া ইউনিয়নের ৮ গ্রামের মানুষ। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত মেরামত করা দরকার। অর্থের অভাবে তা করা যাচ্ছে না।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে এখানকার বেড়িবাঁধগুলো টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত সংস্কারকাজ চালিয়ে যেতে যে অর্থের প্রয়োজন তা আমাদের নেই। অর্থ পেলে কাজ শুরু হবে।’
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান, সাম্প্রতিক দুর্যোগে ৮০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরই মধ্যে ১৭ কিলোমিটার মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৭ কিলোমিটার বাঁধের মেরামত কাজ চলছে।
বর্তমানে বরিশাল অঞ্চলের প্রায় ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা ও অরক্ষিত অবস্থায় আছে।