পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিসিআইসির সার-ডিলার লাইসেন্স লাখ টাকায় ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুলাল খলিফার ব্যক্তির নামে সার ডিলার লাইসেন্সটি অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। আর ঐ লাইসেন্স মনির হোসেনের কাছে ভাড়া দেয়। বেশি লাভের আশায় আবার অন্য ব্যক্তির কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে লাভবান হন দুলাল খলিফা। দুলাল খলিফা ব্যক্তির নামে অনুমতিপত্র দেওয়া লাইসেন্সটি। এভাবে ব্যক্তির অনুমতিপত্র চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সার বিক্রি করে যাচ্ছেন অন্য ব্যক্তি।
ধুলাসার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খলিফা টেডার্স নামের অনুমতিপত্রটির সত্বাধিকারী দুলাল খলিফা। এই অনুমতিপত্র ভাড়ার দেওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়ে সরাসরি কৃষকদের ওপর। এতে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য ছাড়াও অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে সার কিনতে হয় কৃষকদের। যার ফলে কৃষকের দুর্ভোগের শেষ নেই।
কৃষকদের অভিযোগ, অসাধু ব্যক্তিদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে বছরে হাজার হাজার টাকা লোকসান গুনছেন তারা। এমনকি কৃষি বিভাগকে অবহিত করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না তারা। কৃষক ও খুচরা সার বিক্রেতাদের এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যাচ্ছে।
উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের সার বিক্রেতা মনির হোসেন হাওলাদার অনুমতিপত্র মাস চুক্তিতে ভাড়া নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সার বিক্রি করে যাচ্ছেন। এখন আবার অন্য ব্যক্তির কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে লাভবান হন দুলাল খলিফা। এ ব্যাপারে সার বিক্রেতা মনির হোসেন হাওলাদার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
ধুলাসার ইউনিয়নে তারিকাটার কৃষক মহিউদ্দিন খা জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য ছাড়াও অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে সার কিনতে হয় আমাদের। এতে আমরা কৃষকরা চরম ভোগান্তির স্বীকার। আমরা তার ডিলার লাইসেন্স বাতিল চাই। প্রকৃত ডিলারকে লাইসেন্স দেওয়া হোক।
খলিফা টেডার্স সত্বাধিকারী দুলাল খলিফার তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে তার মেয়ে বিসিভ করে বলেন, বাবা বিলে গেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন জানান, এ নিয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ডিলার লাইসেন্স ভাড়া দেওয়ার সত্যতা প্রমাণিত হলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। কৃষি অফিস থেকে মাঠে গিয়ে ডিলার লাইসেন্স ভাড়া দেওয়া হয় কিনা তা খুঁজে দেখা হবে। সত্যতা প্রমাণিত হলে বিসিআইসির সার-ডিলার লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে।
কলাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমি আপনাদের কাছে শুনলাম। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে দেখার জন্য আমি বলব। বিসিআইসির সার-ডিলার লাইসেন্স ভাড়া দেওয়া যায় না। সত্যতা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।