রোববার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ঘটেছে এই হামলা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস এবং তাদের মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ সেই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে গোষ্ঠী দু’টি বলেছে, “গতকাল রাতের ঘটনা ছিল আমাদের শাহাদাত অপারেশনের অংশ। মাসের পর মাস ধরে দখলদার বাহিনী গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে এবং সম্প্রতি যেভাবে আমাদের নেতা ইসমাঈল হানিয়াকে হত্যা করা হলো— সেসবের জবাব আমরা দেওয়া শুরু করেছি।”
ইসরায়েলের সরকার এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী তৎপরতা বলে উল্লেখ করেছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী শিন বেটের মুখপাত্র ডেভিড মেন্সের রয়টার্সকে বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে একজন ব্যক্তিকে তারা ব্যাপপ্যাক পিঠে সিনাগগের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। তারা ওই ব্যক্তির যে বর্ননা দিয়েছিলেন, ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন আলামতের সঙ্গে সেসবের মিল পাওয়া যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
এই যুদ্ধ চলার মধ্যেই সম্প্রতি ইরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটিই করেনি।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরান ইসরায়েলকেই দোষারোপ করেছে এবং এর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনেকেন রোববার গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় তেল আবিবে যাওয়ার এক ঘন্টা পর ঘটে এই বিস্ফোরণের ঘটনা।