পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর ১৪ বছর পর সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ ৬৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমানের ভাই ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাইফুর রহমান বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে কলাপাড়া থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের কৌশুলী অ্যাডভোকেট খন্দকার শাহাব উদ্দিন ও আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, সাবেক মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম, আব্দুর রহমান তালুকদার, আবু সালেহ, নিজাম আকনসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২৫ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমানকে কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আসামিরা অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে পাখিমারা বাজারে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ফেলে রাখে।
এরপর আসামিরা জিয়াউরের বাড়িতে গিয়ে মামলা না করার হুমকি দিয়ে ১৭টি গরু ও ১৬টি ছাগল ছিনিয়ে নেয়। এর নির্দেশদাতা ছিলেন সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর ভিকটিমকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠান। ঢাকায় দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই সময় কলাপাড়া থানা পুলিশকে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য অনুরোধ করা হলেও ১নং আসামি মাহবুবের প্রভাবে পুলিশ ভিকটিমের লাশ দ্রুত দাফনের জন্য চাপ দেয়। এমনকি থানা ও আদালতে তখন মামলা করতে পারেনি ভুক্তভোগীর পরিবার।
বর্তমানে দেশে নিরপেক্ষ সরকার থাকায় বাদী তার ভাইয়ের হত্যা ও লুটতরাজের বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, আদালতের আদেশ হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।