পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দশমিনার বাবলু মৃধা পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রি। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন রাজধানীর শনিরআখড়ায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যখন পুরো দেশ উত্তাল, তখন নিজেকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি চল্লিশোর্ধ্ব এ দিনমজুর। ঝাঁপিয়ে পড়েন আন্দোলনে। সঙ্গে নেন কিশোর বয়সী ছেলেকেও। গত ২০ জুলাই পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিলে নির্বিচারে গুলি করলে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর ছেলে ও সহযোদ্ধারা। সেই থেকে কাতরাচ্ছিলেন হাসপাতালের বিছানায়। অবশেষে সোমবার ঢাকা সিএমএইচে মারা গেছেন বাবলু।
দশমিনার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লব গ্রামের মফিজ মৃধার ছেলে বাবলু। তাঁর ছেলে আবু তালেব সজিব দনিয়া কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর বাবলুর লাশ গ্রামের বাড়ি নেওয়া হয়। মঙ্গলবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
নিহতের স্ত্রী সীমা বেগম বলেন, গত ২০ জুলাই যখন চারদিকে শুধু গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল, তখন ঘরে বসে থাকতে পারেননি বাবলু। বড় ছেলে সজিবকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রাজপথে। শনিরআখড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো গেল না।