এখন অসুস্থতার মৌসুম যাচ্ছে। কম বেশি সবাই অসুস্থ হচ্ছে। কেউ কেউ বেশ ভুগছেন। তাহলে কি সবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেল? এটা হয়তো নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা বের করতে পারেন। তবে ছয়টি অভ্যাস তৈরি করতে পারলে আমরা নিজেরাই কিন্তু অসুস্থতাকে বিদায় জানাতে পারি। এ নিয়েই লিখেছেন মো. লতিফুর রহমান।
০১. ঘুমাতে হবে সঠিক সময়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবচেয়ে ভালো সময় রাত ১০টার পর। ঠিক সময়ে ঘুমালে প্রচুর কিলার সেল তৈরি হয় যা ক্ষতিকর ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
০২. সূর্যের আলো গায়ে লাগাতে হবে। এতে ভিটামিন-ডি ও মেলাটনিন তৈরি হয়। যা রোগ প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা রাখে।
০৩. শরীর চর্চা করতে হবে। খেয়াল করতে হবে, শরীর চর্চার সময় যেন শ্বাস প্রশ্বাস ও হার্টবিট বাড়ে। রিল্যাক্সে হাঁটলে প্রকৃত উপকার পাওয়া যায় না। এছাড়া বেশি হাঁটার চেয়ে জায়গায় দাঁড়ায়ে ব্যায়াম বেশি কার্যকর হতে পারে।
০৪. পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ফাস্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংস ইত্যাদি চিরতরে বাদ দিতে হবে। চিনি বাদ দিতে হবে। আর যত ভালো খাবারই খাই না কেনো সেটা যেন বেশি না খাই।
০৫. মাঝে মাঝে রোজা রাখতে হবে। রোজার সময় শরীরে অটোফেজি হয়। অর্থাৎ অবাঞ্চিত উপাদন খেয়ে ফেলে শরীর নিজেকে পরিস্কার রাখে।
০৬. মানসিক অস্থিরতা রোগের কারণ। এক্ষেত্রে ইবাদত পালন আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া পেট ভোরে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়লে শরীর ও মন দুটোই আরাম পায়।
অল্প করে হলেও এই ছয়টি অভ্যাসের সমন্বয় লাগবে। তবে এগুলো মানতে হলে সুস্থ থাকার গুরুত্ব বুঝতে হবে। না হলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন।
বাস্তবতা হচ্ছে, অসুস্থ হলে আমরা কিছুই করতে পারি না। অন্যরা তাদের কাজ ফেলে আমাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি-সহ কতগুলো মানুষের কাজের ক্ষতি ও ভোগান্তি তৈরি হয়।
ডাক্তার ও ওষুধের পেছনে ভালো অঙ্কের খরচ হয়। অথচ সে তুলনায় সুস্থতার জন্য কম খরচ করলেই হতো। তাই আসুন অবহেলা না করি।