পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে পাওয়া গেছে আফরোজা আক্তার ওরফে রিতু (১৯) নামের এক পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ।
শনিবার দুপুরে সৈকতপারের হোটেল সী-বিচ ইনের ৫০১ নম্বর কক্ষ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর পালানোর সময় রিতুর স্বামী ও তাঁর বন্ধুসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যজন কিশোরী।
রিতু যশোরের কোতোয়ালি থানার ধর্মতলা এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর স্বামী হিসেবে পরিচয় দেওয়া একই থানার সংকরপুরের বাবু মীরের ছেলে ইছা মীর (২১), তাঁর বন্ধু বারান্দিপাড়া এলাকার কুমারেশ সাহার ছেলে কপিল চন্দ্র সাহা (২১) ও রিতুর আপন বোন পরিচয় দেওয়া ১৭ বয়সী এক কিশোরী।
পুলিশ ও সী-বিচ ইন কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার যশোরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে দুই পুরুষ ও দুই নারী ওই হোটেলের দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি কানেক্টিং রুম ভাড়া নেন। শনিবার সকালে নাশতা খাওয়ার পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে ওই তরুণী দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না গলায় দিয়ে ফাঁস নেন। পরে দরজা ভেঙে হোটেলের ব্যবস্থাপকসহ অন্যরা তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেন। একপর্যায়ে ইছা মীর ও কপিল চন্দ্র সাহা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলী হায়দার বলেন, হঠাৎ করে রাস্তায় দুটি ছেলে দৌড়ে পালাচ্ছিল। তাদের পিছু নিয়ে ওই আবাসিক হোটেলের এক কর্মচারী ধাওয়া করেন। এটি দেখে তারা ওই ব্যক্তিদের আটক করে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আসতে বলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।