বরিশাল অফিস :: বরিশালে ট্রাংকলরি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি ও ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষকে মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছে শ্রমিকরা। আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর বান্দ রোড সংলগ্ন মেঘনা পেট্রোলিয়াম বরিশাল ডিপোর সামনে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরিশাল বিভাগীয় ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বেলা ১২ টার দিকে কর্মবিরতী প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেন ট্যাংক লড়ি শ্রমিকরা।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বরিশাল বিভাগীয় ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল জানান, বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের কেডিসি কলোনী সংলগ্ন পদ্মা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপোতে ট্রাকে তেলে নিয়ে বের হতে হলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনসহ তার বাহিনীকে তাদের দাবিকৃত গাড়ী প্রতি ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। এসময় সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। তাই আজ সকাল থেকে আমার চাঁদাবাজি বন্ধ ও হামলার প্রতিবাদের কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করি। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের শ্রমিকদের কথা শুনে তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন ও চাঁদাবাজি বন্ধের আশ্বাস দিলে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যাই। এসময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় চাঁদাবাজদের দৌরাত্মের কারনে তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।
এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে, ট্রাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বরিশালে সকাল থেকে কোনো তৈল আনা-নেওয়ার সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
পরবর্তী সময়ে সেনা কর্মকর্তারা বিসিসি কাউন্সিলর জয়নালকে ডেকে সাবধান করে বলে দেয় কোন ধরনের চাদাবাজি,ধকলবাজি ও মাদক ব্যবসা চলতে পারবে না বলে দেয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংক লড়ি সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন।