পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বাউফলে ধানদী গ্রামে পারভীন বেগম ১১ সদস্য পরিবার নিয়ে পলিথিন ছাপড়ায় মধ্যে জীবন যাপন করেছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধান্দী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড বসতী তার। ধান্দী বাজার দক্ষিন দিকে কালাইয়া-ধান্দী পাকা সড়ক তেতুঁলিয়া নদীর কুলে পানির ডোবা মধ্যে পলেথিন ছাপড়া চারদিকে হোগল পাতা বেড়া নিচে কাঠের তক্তার পাটাতন। স্বামী, স্ত্রী, ছেলে, ছেলে বউ এবং নাত-নাতনী নিয়ে একই ছেড়াকাথায় রাত কাটাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিন ধান্দী গ্রামে গেলে প্রতিনিধিকে নিয়ে পারভীন তার পরিবারকে নদীর কুলে যায়। হাতের ইশারা দেখান সেই পূর্বে বসতবাড়ী যা নদীর মধ্যে লঞ্চ নৌকা চলাচল করছি। নদী বিলীন দেখিয়ে বারবার দাবি করেন একটি টুকরো জমির।
বজলু হাওলাদার সাথে আলাপ চারিতায় জানা যায়, ৪ বছর আগে তেতুঁলিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যায় ৩০ শতক বসতবাড়ি ও কৃষি জমি। ৩ ছেলে মেয়ে ও নাত-নাতনী নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, পারভীন বসতবাড়ি তেতুঁলিয়া নদীতে বিলীন হওয়ার পরে চর রায়সাহেব আদর্শগ্রামে একটি থাকার ঘর পেলেও ওই এলাকায় কাজের সংকট দেখা দেয়। ওই চরে যেখানে যায় সেখানে কাজের বাঁধা। আদর্শ গ্রামে ২ মাস থাকার পরে কাজ না পেয়ে নিজ ধানদী গ্রামে আসতে বাধ্য হয়।
স্পিড ট্রাস্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সালমা বেগম বলেন, স্টার ফর হারল্যান্ড ক্যাম্পেইন প্রকল্পের ভূমিহীন দলের একজন সদস্য। ভূমিহীন দলের মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমে ভূমিহীন সনদ গ্রহন করে থাকে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারারী কমিশনার (ভুমি) সচেতনতামূলক সভায় খাসজমি দাবি করেন। এ সময় প্রতীক কুমার কুন্ডু বর্তমান খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান বন্ধ তবে গুছ্চগ্রামে বন্দোবস্ত প্রদান রয়েছে। বাউফল উপজেলা ও জেলা খাসজমি বন্দোবস্ত কমিটি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নাজিরপুর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সহিদুল আলম জানান, ধান্দী গ্রামের মধ্য সবচেয়ে হচ্ছে বজলু হাওয়ালাদার ও পারভীন পরিবার। বর্তমানে তেতুঁলিয়া নদীর পাড়ে ডোবার মধ্য ডেড়াবাধ দিয়ে জীবন যাপন করেছে।