চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: কানপুর টেস্টের একদিন বাকি। দুপুরে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ। হুট করে মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম জানান, সংবাদ সম্মেলনে আসবেন সাকিব আল হাসান। যেখানে সাধারণত আসেন অধিনায়ক কিংবা কোচ। তাহলে কি অবসরের ঘোষণা আসবে? এমন আলোচনাই সত্যি হলো কানপুরে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে আসেন সাকিব। নিজের ক্যারিয়ারের পরিকল্পনা নিয়ে বলতে গিতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ।
এখানে আবার যদি কিন্তু আছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যদি সাকিবকে দেশে যাওয়ার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে তবে তিনি যাবেন। আর না হয় ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্ট হবে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচ। আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে কানপুর টেস্ট।
সাকিব বলেন, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো অ্যাভেইলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কি পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি অনুভব করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে বিশেষ করে।’
বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘এভাবেই ফারুক ভাইর সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য লাস্ট। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন কিভাবে সুন্দর ভাবে আয়োজন করা যায়।’
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। বিসিবিসহ দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সবুজ সংকেত পেলে তবে দেশের বিমান ধরবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোন সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তাঁরা দেখছেন। তারা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব’-বলেছেন সাকিব।
সাকিব এখন পর্যন্ত ৭০টি টেস্ট খেলেছেন। ব্যাট হাতে করেছেন ৪ হাজার ৬০০ রান। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। ব্যাটিং গড় ৩৮.৩৩। সেঞ্চুরি ৫টি ও হাফসেঞ্চুরি ৩১টি। বল হাতে সমান টেস্টে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট। বোলিং গড় ৩১.৮৫। ১০ উইকেটে ২ বার, ৫ উইকেট ১৯ বার ও ৪ উইকেট নিয়েছেন ১০ বার।