পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীতে এক তরুণীকে তিনবার বিয়ে করলেও স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল আসাদুজ্জামানের বাড়িতে তিনি অনশন করেছেন।
ওই নারী বরগুনার বেতাগী পৌরসভার বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান নেন।
আসাদ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ঢেউখালী গ্রামের বাসিন্দা আজিজ মৃধার ছেলে। তিনি বর্তমানে বরগুনা আদালতে কর্মরত আছেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে আসাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে যান। পরে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তরুণীকে হেনস্থা করেন। একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের হুমকি-ধামকি দেন তারা। এ সময় বসতঘরের মালামাল তছনছ করে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার দায় চাপাতে গেলে স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে ওই তরুণী আসাদের বাড়ির সামনে শুক্রবার সকাল থেকে অবস্থান করলে বিকালে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য নেছার উদ্দিন তালুকদার ও গ্রামপুলিশ দুলাল হাওলাদারের সহায়তায় ওই তরুণীকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই তরুণী জানান, ২০১৯ সালে ফেসবুকে পরিচয় হয় আসাদের সঙ্গে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করা ছাড়াও গত তিন বছরে তাকে দুবার তালাক এবং তিনবার বিয়ে করেন আসাদ। শেষবার ১৮ সেপ্টেম্বর কুয়াকাটায় বসে বিয়ে করলেও তাকে সেখানে রেখে চলে যান আসাদ।
এ বিষয়ে কনস্টেবল আসাদের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।