চন্দ্রদ্বীপ নিউজ :: সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন ভাতাসহ পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে সড়কে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানার শ্রমিকরা।
এছাড়া শিল্পাঞ্চলে আজ অধিকাংশ কারখানা চালু রয়েছে। সকাল থেকেই খোলা কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের যথাসময়ে কাজে যোগ দিতে দেখা যায়।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় শ্রমিকদের সড়কে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায়।
এর আগে, গত সোমবার সকাল থেকে বাইপাইলের বুড়িরবাজার এলাকার লে অফ থাকা বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানার শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য পাওনাদির দাবিতে নবীনগর চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
শ্রমিকরা জানান, গেল ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। গতকাল শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের কথা ছিল। তবে শ্রমিকরা সকালে কারখানার সামনে এসে দেখেন, কারখানা ফটকে পাওনাদি পরিশোধের সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি সংক্রান্ত নোটিশ লাগিয়ে রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা।
জানা যায়, বার্ডস গ্রুপের ৪টি কারখানা বার্ডস আর এন আর ফ্যাশন্স লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস, বার্ডস ফেডরেক্স, বার্ডস এ এন্ড জেড লিমিটেড পাওনাদি পরিশোধ না করে বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর এসব কারখানার বিক্ষুদ্ধ শ্রমিক সড়ক অবরোধ করে।
তবে এছাড়া শিল্পাঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। সার্বিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নজরদারি রয়েছে।
ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহীনুর কবির বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে সড়ক তারা আটকে রেখেছে। এর কারণে ঢাকা থেকে যেসব গাড়ি উত্তরবঙ্গ ও খুলনার দিকে যায় সব রাস্তাই বন্ধ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। ধামরাই রোডেও যানজট, নবীনগর বাইপাইল বন্ধ। মোটকথা এ অঞ্চলের সব সড়কে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এভাবে মূল সড়ক তারা বন্ধ রাখতে পারে না। তাদের কাউন্সিলিং করা হয়েছে, কিন্তু তারা মানেনি।
তিনি বলেন, আমরা সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছি। মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। মালিক বলেছে, তার কাছে কোনো টাকা পয়সা নাই। কারখানা বিক্রি করে টাকা দেবে। তিনি কারখানা বিক্রি করে টাকা দেবেন। শ্রমিকদেরও কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে। তবে আর সব কারখানায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।