চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: সরিষার বীজ থেকে প্রাপ্ত সরিষার তেল রান্না ও ঔষধি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চুলের যত্নে এর ব্যবহার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সরিষার তেল এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সরিষার তেল ভিটামিন ই এর একটি ভালো উৎস, এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের ফলিকলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের উপস্থিতি চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখে। চুলের জন্য সরিষার তেলের কিছু উপকারিতা জেনে নিন-
১. চুলের বৃদ্ধি
সরিষার তেল মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করে বলে মনে করা হয়, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে পারে। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, সরিষার তেল রক্ত প্রবাহ উন্নত করার ক্ষমতা এবং চুলের ফলিকলে পুষ্টি সরবরাহ করার ক্ষমতার কারণে চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে পারে।
২. চুল মজবুত করে
সরিষার তেলে উচ্চ মাত্রার ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের আগা মজবুত করতে এবং ভাঙা রোধ করতে সাহায্য করে। এটি ভঙুর বা ক্ষতিগ্রস্থ চুলের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। সরিষার তেল নিয়মিত প্রয়োগ করলে চুলের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নত হতে পারে।
৩. চুল পড়া রোধ করে
গবেষণা পরামর্শ দেয় যে, সরিষার তেল চুল পড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে। মাথার ত্বকে সরিষার তেল লাগালে তা চুলের ফলিকলকে পুষ্ট করে এবং চুলের দুর্বল হওয়া রোধ করে চুল পড়া কমাতে পারে।
৪. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে
সরিষার তেল চমৎকার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এর ইমোলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্য আর্দ্রতা সরবরাহ করে এবং চুল নরম করে তোলে। প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট হিসাবে সরিষার তেল ব্যবহার করলে তা চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।
৫. খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে
সরিষার তেলে অ্যান্টিফাঙাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষা অনুসারে, সরিষার তেল সহ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেল খুশকি-সৃষ্টিকারী ছত্রাকের উপস্থিতি কমাতে পারে।