চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: ডিপ্রেশন একটি মানসিক অবসাদ যা দেহের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে এবং বিভিন্ন কারণে ঘটে। ব্যক্তির জীবনের চাহিদা বৃদ্ধি ও প্রাপ্তির মধ্যে অসঙ্গতি থাকলে তা ডিপ্রেশনে রূপান্তরিত হতে পারে।
### ডিপ্রেশনের কারণ:
**১. অপমান বোধ:**
যারা আত্মমর্যাদার ওপর নির্ভরশীল, তারা অপরের দ্বারা অপমানিত হলে মানসিকভাবে আহত হতে পারেন। এ অবস্থায় তারা ডিপ্রেশনে পড়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
**২. একাকিত্ব:**
যারা সামাজিক, কোলাহল পছন্দ করেন, কিন্তু একাকী জীবন যাপন করতে বাধ্য হন, তারা মানসিকভাবে অসহায় অনুভব করতে পারেন।
**৩. বংশগত কারণ:**
কিছু পরিবারের সদস্যরা জিনগতভাবে ডিপ্রেশনের প্রতি ঝোঁক থাকতে পারেন। এরা সাধারণত ছোট বিষয়গুলোকে বড় করে দেখেন।
**৪. জীবনে বড় পরিবর্তন:**
কোনও বড় পরিবর্তন, যেমন চাকরি হারানো, জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে এবং এটি ডিপ্রেশনে রূপান্তরিত হতে পারে।
### ডিপ্রেশনের লক্ষণ:
– হতাশা, রাগ, এবং দুঃখ
– খিদে ও ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি
– একাকী হয়ে যাওয়া, কারো সাথে কথা বলতে না চাইলে
– শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা অনুভব করা
– কোন বিষয়ে আগ্রহের অভাব
যদি উপরের লক্ষণগুলোর পাঁচটি বা তার বেশি দু’সপ্তাহ ধরে থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়া উচিত।
### ডিপ্রেশনের ধরনের পরিচয়:
– **মেজর ডিপ্রেশন:** দীর্ঘমেয়াদী লক্ষণ প্রকাশ পেলে, যা আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।
– **মাইনর ডিপ্রেশন:** কোন দুঃখজনক ঘটনার কারণে ঘটে।
– **অ্যাটিপিকাল ডিপ্রেশন:** মেজর ডিপ্রেশনের একটি ধরনের যা চিকিৎসা ও সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন হতে পারে।
### মুক্তির উপায়:
ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে হলে:
– **চিকিৎসা:** চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা।
– **সমর্থন:** কাছের মানুষের সমর্থন ও বোঝাপড়া প্রয়োজন।
– **স্বাস্থ্যকর খাদ্য:** পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করা।
নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুখের দায়িত্ব নিতে হবে। নিজের মধ্যে সুখ খোঁজার চেষ্টা করুন এবং অন্যান্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমান। ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির জন্য প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।