চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত শুনানিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই ও আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবরটি গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স শিরোনাম করেছে, “নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।” তারা জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে সহিংস আন্দোলনের সময় গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, “শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।” বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, হাসিনা সরকার ২০১০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে এই আদালত প্রতিষ্ঠা করেছিল, তবে এর কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন এবং তাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হয়েছে, যা দিয়ে তিনি অন্য দেশে যেতে পারবেন। তবে ভারত বাংলাদেশকে প্রত্যর্পণের জন্য চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হতে পারে।
এছাড়াও পাকিস্তানের দ্য ডন, মধ্যপ্রাচ্যের গালফ নিউজ ও খালিজ টাইমসসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই ঘটনার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর জামায়াত ও বিএনপির অনেক নেতা দণ্ডিত হয়েছেন। এখন শেখ হাসিনারও সেই আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
**ট্যাগ:** শেখ হাসিনা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, গণহত্যা, আওয়ামী লীগ, ভারত, বিশ্ব গণমাধ্যম