শিরোনাম

কীভাবে হামাস নেতার সন্ধান পেল ইসরাইল

Views: 18

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইয়াহিয়া সিনওয়ার। হামাসের সূচনালগ্ন থেকে পাশে ছিলেন সাহসী এই নেতা। কিন্তু ইসরাইলের হামলায় গত বুধবার প্রাণ হারান তিনি। শনিবার হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সাধারণত হামাসের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বেশ আড়ালেই থাকেন। লোকচক্ষুর বাইরে থাকা হামাস নেতার সন্ধান কীভাবে পেল ইসরাইল-এটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আলজাজিরা।

দীর্ঘ সময়ে মাটির নিচে হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গে থাকছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ধারণা করা হচ্ছিল, একদল দেহরক্ষী এবং ইসরাইলি জিম্মিদের ‘মানবঢাল’ বানিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তবে মৃত্যুর আগে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় মাত্র তিনজন সঙ্গীকে নিয়ে একটি ভবনের কক্ষে প্রবেশ করলেও শেষ মুহূর্তে তিনি ছিলেন একা। সিনওয়ারের অবস্থান শনাক্তকারী ড্রোনের ক্যামেরায় এই নেতাকে হত্যার আগের মুহূর্তের ভিডিও এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, তাদের ৮২৮তম ব্রিগেডের একটি ইউনিট বুধবার রাফার তাল আল-সুলতান এলাকায় টহল দিচ্ছিল। ওই সময় সেখানকার একটি ভবনে অভিযান চালান হয়। কারণ, সেনাদের কাছে তথ্য ছিল, ভবনটি হামাসের সিনিয়র নেতারা ব্যবহার করেন। তারপর ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করা হয়। ওই তিনজনের মধ্যে একজনের সঙ্গে হামাস নেতা সিনওয়ারের শারীরিক গঠনের মিল পান ইসরাইলি সেনারা। পরে সেই মৃতদেহের আঙুলের একটি অংশ পরীক্ষার জন্য ইসরাইলে পাঠানো হয়। ইসরাইলের কাছে সিনওয়ারের জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। কারণ, জীবনের কয়েক দশক সিনওয়ারের কেটে গেছে ইসরাইলের কারাগারে। আরও পরে ওই এলাকার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামলায় প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবন থেকে মৃতদেহগুলো বের করে ইসরাইলে নিয়ে যায় অভিযান পরিচালনাকারী সদস্যরা। ইসরাইলেই ডিএন পরীক্ষা করে এবং ড্রোনের ভিডিও ও কয়েকটি গ্রাফিতি ছবির সাহায্যে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগরি বলেছেন, ওই ভবনে যে সিনওয়ার আছেন, সেটি তার বাহিনী নিশ্চিতভাবে জানত না। তিনি জানান, আমাদের অভিযান শুরু হলে তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখেছে সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান ও সিনওয়ার একা ভবনের মধ্যে একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর একটি ড্রোন দিয়ে তার অবস্থান শনাক্ত করে হত্যা করা হয়।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *