চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনের ‘লালন স্মরণোৎসব’ আয়োজন করেছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিল ১৮ অক্টোবর, যেখানে ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ শীর্ষক সাধু মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “লালনের শিক্ষাই হলো অহিংস বাহাস এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের মূলমন্ত্র। লালনের গান হলো তত্ত্ব গান, যা সাধনার সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরো যোগ করেন, “লালনের বাণী অনুসারে, শিল্পকলার মাধ্যমে জ্ঞান অন্বেষণ করা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। তিনি বলেন, “লালন সাঁইজি বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার কথা বলে গেছেন।”
দ্বিতীয় দিনে গান পরিবেশন করেন নবীন ও প্রবীণ বাউল শিল্পীরা। সন্ধ্যায় নন্দনমঞ্চে ‘এসো হে দয়াল কান্ডারি’ গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে একক পরিবেশনায় ‘কী সন্ধানে যাই’, ‘এনেছে এক নবীন গোরা’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ এবং ‘মিলন হবে কত দিনে’ গানগুলো পরিবেশন করা হয়।
এছাড়া তিন দিনের উৎসবের শেষ দিনে বিকেল চারটায় ‘জাতিসত্তার প্রশ্ন এবং বাউল-ফকির পরিবেশনার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান হবে।