চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে বাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এর ফলে শেয়ারবাজারে ক্রেতার সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বিক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশি।
আজ রোববার, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকে ৯৭ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশের বড় পতন হয়েছে। এটি ৫ আগস্টের পর সর্বোচ্চ দরপতন। বর্তমানে ডিএসইএক্স সূচক ৫ হাজার ১৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা গত প্রায় চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা দরপতনের ফলে ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। যখন শেয়ারের দাম একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে যায়, তখন ব্রোকারেজ হাউসগুলো তাঁদের শেয়ার জোরপূর্বক বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করে নেয়, যা ফোর্সড সেল হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুঁজিবাজারে অবাধ লুটপাট হয়েছে, যার ফলে দুর্বল কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। তারা জানিয়েছে, বাজারের সমস্যা সমাধানে বিএসইসি বাজার অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং সরকারি কোম্পানির তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, বিএসইসির জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, দুর্বল মৌলভিত্তির জেড শ্রেণির কোম্পানিগুলো মধ্যে যারা ন্যূনতম ৮০ শতাংশ লভ্যাংশ বিতরণ করেছে, তাদের পুনরায় প্রযোজ্য শ্রেণিতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।