বরিশাল অফিস :: পিরোজপুরের সুস্বাদু আমড়ার খ্যাতি দেশজুড়ে। বর্ষা মৌসুমের এ ফলটি যেমন জেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোর শোভা বর্ধন করে, তেমনি এই ফলের বাগান জেলার আয়ের এক অন্যতম মাধ্যম। ফলটি যেমন আমাদের মুখের রুচি যোগায়, তেমনি আয়ের পথও সুগম করে।
সুরুচির যোগান দিতে পিরোজপুরের উৎপাদিত আমড়া শুধু ঢাকা নয়, দেশের প্রায় সব জেলায় পৌঁছে যায়। আর পিরোজপুর বৃহত্তর বরিশালের একটি জেলা হওয়ায় এটি বরিশালের আমড়া হিসেবেই বেশি পরিচিত। বরিশালের আমড়া যেমন সুস্বাদু, তেমনি আকারেও বেশ বড়। পিরোজপুরের আবহাওয়া ও জলবায়ু আমড়া চাষের জন্য উপযোগী থাকলেও এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এর উৎপাদন কিছুটা কমেছে। ফলে কমেছে সরবরাহ, বেড়েছে দাম।
আমড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, পিরোজপুরের আমড়া বাংলাদেশে বিখ্যাত। বরিশাল থেকেই ঢাকা-সিলেট কুমিল্লা নোয়োখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। সর্বত্রই আমাদের আমড়ার খুব চাহিদা রয়েছে। বিগত দিনে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কিছুটা খারাপ থাকার কারণে ও বন্যার কারণে আমরা যারা ব্যবসায়ী তারা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থায় আছে, এভাবে থাকলে বিগত দিনের যে ক্ষতি হয়েছে আমরা সেটা কাটিয়ে উঠতে পারব।
পিরোজপুরের আমডার বেশি চাহিদার কারণ হচ্ছে এই আমড়ায় কোনো ধরনের সার কীটনাশক এবং ফরমালিন ব্যবহার করা হয় না। এ কারণে দেশজুড়ে এর খ্যাতি রয়েছে। এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বরিশালের আমড়ার অনেক প্রশংসা করে থাকে। তাই পিরোজপুরে পেয়ারার পাশাপাশি আমড়াও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড. মো: নজরুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং জলবায়ু আমড়া চাষের উপযোগী থাকায় এর ফলনও বেশি। ফলে এটি চাষে কৃষকের আগ্রহও বেশি। তাছাড়া বর্তমানে পদ্মা ব্রিজ হওয়ায় এটি বিপণনের সুবিধাও বেড়েছে। ফলে কৃষকের আগ্রহ আরো বেড়েছে। পাশাপাশি এর চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগের রয়েছে সর্বোচ্চ সহযোগিতা।
এ বছর জেলায় মোট ৫০৯ হেক্টর জমিতে আমড়ার আবাদ হয়েছে। এবং হেক্টর প্রতি এর উৎপাদন ২০ মেট্রিক টন।