শিরোনাম

কাটছে না মাছের বাজারের অস্থিরতা, দাম বাড়তেই থাকে

Views: 14

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: রাজধানীর মাছের বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে সব ধরনের মাছের দাম নিয়মিত বেড়ে চলেছে। ক্রেতাদের মতে, মাছের বাজারের এই পরিস্থিতি শীঘ্রই পরিবর্তিত হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। অন্যদিকে, বিক্রেতাদের অভিযোগ, ফিডের দাম বৃদ্ধির কারণে মাছের দাম বাড়ছে, যা কমার সম্ভাবনা নেই।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি ও লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির দাম আগের মতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় স্থির রয়েছে।

মাংসের বাজারেও অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে, মাছের বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, রুই ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাস ২০০ টাকা, কাঁতল ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকা এবং চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী তুহিন আহমেদ বলেন, “মাছের দাম দীর্ঘদিন ধরে কমেনি। একসময়ে পাঙাস, তেলাপিয়া ও চাষের কইয়ের দাম কম ছিল, কিন্তু এখন সেগুলোর দামও বেড়ে গেছে।”

আরেক ক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে মাছের বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ নেই। বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে।”

রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই বাজারে দাম বাড়ছে। পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনতে গেলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, যা খুচরা বাজারে বিক্রির উপর প্রভাব ফেলছে।”

এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য মাছ কেনা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *