চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস চালানোর পরও অনিয়মিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) ইয়োতাম ভিল্ককে সামরিক বাহিনীতে কাজের জন্য ডাকা হয়নি। তবে তিনি স্বেচ্ছায় ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করতে যান। এরপর তিনি গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে ২৩০ দিন কাটিয়েছেন। এ যুদ্ধ তাঁর জীবনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু এখন আর তিনি যুদ্ধে যেতে চান না।
এ বছরের গ্রীষ্মে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় কাজ করার পর ইয়োতাম সেখানে যেতে অস্বীকার করছেন। তিনি বলেছেন, সরকার যদি আবার ডাকে তিনি আর যাবেন না। তিনি মনে করেন, কিছু ক্ষেত্রে গাজায় সামরিক পদক্ষেপ জরুরি ছিল। কিন্তু এটা হওয়া উচিত ছিল শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে, এমন কূটনৈতিক সমাধানের একটি উপায় হিসেবে। তিনি এখন বিশ্বাস করেন, গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলার পাশাপাশি জিম্মি মুক্তি কঠিন করে তোলা হয়েছে। নেতানিয়াহু সরকার সেখানে শান্তি অর্জন করতে চায় না।
৯ অক্টোবর ইয়োতামসহ ইসরায়েলি ১৩০ অনিয়মিত সেনা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ শেষ করতে ও হামাসের হাতে জিম্মি ১০১ জনকে মুক্ত করতে চুক্তি সই না করলে তাঁরা সরকারের হয়ে আর কোনো কাজ করবেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সীমারেখা পার হয়ে গেছে। আবার অনেকে সীমারেখার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। আমরা ভাঙা মন নিয়ে এই সেবা থেকে সরে দাঁড়াতে এ চিঠি লিখছি।’
ইয়োতামের সীমারেখা আগেই ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত নেওয়া তাঁর জন্য সহজ ছিল না।