শিরোনাম

বরিশাল বিভাগে ৮ মাসে ৯৫ খুনের মামলা

Views: 29

বরিশাল অফিস :: দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। বরিশাল বিভাগে বেড়েছে বীভৎস, বিকৃত, রোমহর্ষক খুনের ঘটনা।

আপনজনরাও ঘটাচ্ছে অবিশ্বাস্য খুনখারাবি। স্ত্রী খুন করছে স্বামীকে, স্বামী খুন করছে স্ত্রীকে, ভাই খুন করছে ভাইকে। খুনের পর লাশ রাখা হচ্ছে রাস্তায়, বালুর ভেতর, বস্তার ভেতর, কাদার ভেতর, ড্রেনে কিংবা ডাস্টবিনে। প্রায়ই এ ধরনের খুনের ঘটনা ঘটছে।

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দ্বন্দ্বই অধিকাংশ খুনের ঘটনার কারণ। অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করেন যত দ্রুত সম্ভব এদিকে নজর না দিলে এর প্রভাব দিন দিন আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।

অন্যদিকে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা না থাকায় বারবার আইনের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। এতে অপরাধীদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে।

বরিশাল ডিআইজি অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, (চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট) বরিশাল বিভাগে সর্বমোট খুনের মামলা হয়েছে ৯৫টি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে বরিশাল জেলায় ২৫টি। আর সব চেয়ে কম সংখ্যক খুনের মামলা হয়েছে পিরোজপুর জেলায় ১১টি।

এছাড়া পটুয়াখালীতে ২৫টি, দীপ জেলা ভোলায় ১২টি, বরগুনায় ১৪টি, ও ঝালকাঠিতে ১৩টি খুনের মামলা হয়েছে।

বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, খুনের মতো এতো বড় অপরাধী একদিনে তৈরি হয় না। দীর্ঘদিনের অপরাধের লাগাম টেনে না ধরা ও বার বার ছোট ছোট অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার কারণে এক সময় খুনের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে। এ জন্য ছোট বেলা থেকে প্রশাসনের পাশাপাশি বাবা-মায়েরও খেয়াল রাখতে হবে। তার সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে? এদিকে বাবা মায়ের নজর দিতে হবে। তাহলে হয়তো আস্তে আস্তে খুনের মতো অপরাধের সংখ্যা কমে আসতে পারে।

এদিকে, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির (এপিপি) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মাদ মোর্শেদ বলেন, পূর্বে আমরা দেখতাম ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের কারণে খুন হতো। তবে এখন আর তা হচ্ছে না। এখন বেশিরভাগ খুনের ঘটনার পিছনে পারিবারিক বিরোধ ও জমি নিয়ে বিরোধ থাকে। আসলে পারিবারিক বিরোধ কখনোই প্রশাসন বা আইন দিয়ে নিরোধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য দরকার পারিবারিক ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা ও সকলে সকলের প্রতি সহমর্মিতা বজায় রাখা।

বরিশাল ল’কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা জামাল খোকন বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি‍‍`ই খুনের প্রধান কারণ। সমাজের ছোট অপরাধ থেকেই এক সময় বড় অপরাধ সংঘটিত হয়। অপরাধের শুরুর দিকে প্রশাসনের তৎপরতা থাকলে খুনের মতো ঘটনা কম ঘটে। কিছু কিছুক্ষেত্রে খুনের ঘটনায় জন্য প্রতিহিংসা, সামাজিক রাজনৈতিক শত্রুতা, ও অবৈধ উপায়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টায়ও খুন হয়ে থাকে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *