চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই সকালের নাশতা এড়িয়ে চলেন। কেউ হয়তো ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য, আবার কেউ সময়ের অভাবে সকালে নাশতা করতে পারেন না। তবে এই অভ্যাস শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদ চার্লি রিফকিনের মতে, সকালের নাশতা শরীরের বিপাকক্রিয়ায় সহায়ক হওয়ায় এটি শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
১. কর্মশক্তি হ্রাস:
সকালের নাশতা এড়িয়ে গেলে শরীরে শক্তি সঞ্চয় কম হয়, যা কর্মক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সকালের খাবার গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সারাদিনের কাজের শক্তি যোগায়।
২. মুড সুইং ও মনোযোগের ঘাটতি:
সকালে খালি পেটে কাজ করলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং মনোযোগ নষ্ট হয়। সকালের নাশতা মস্তিষ্কে সুখী হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মনকে শান্ত রাখে।
৩. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:
সকালে সঠিকভাবে নাশতা করলে সারাদিন ক্ষুধা কম অনুভূত হয়। অন্যথায়, ক্ষুধার কারণে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
৪. হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা:
নাশতা এড়ালে শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। প্রোটিনসমৃদ্ধ নাশতা কর্টিসলের নিঃসরণ কমায় এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
সকালের নাশতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে শরীরের কোষগুলি সক্রিয় থাকে এবং জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে নিয়মিত সকালের নাশতা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যস্ততার মধ্যে থাকলেও সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ঠিক নয়। স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন, যা সারাদিন আপনার শরীরকে সজীব রাখবে।