শিরোনাম

দশমিনায় কাঠের ভাঙা সেতুতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন তিন পাকা সড়ক

Views: 139

 

বরিশাল অফিস:  দশমিনা উপজেলায় তিনটি পাকা সড়কের সংযোগস্থলে একটি ভাঙা কাঠের সেতু। ঝুকিপূর্ণ হলেও এই সেতুর উপর দিয়েই উপজেলার তিন ইউনিয়নের অন্তত দশ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।

দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী গ্রামে তিনটি পাকা সড়কের সংযোগস্থলে সেতুটির অবস্থান। সেতুটি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হলেও সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন এই সেতুটি দিয়েই যাতায়াত করে। সেতুর অবস্থা এতোটাই নাজুক, টেনেহিঁচড়ে দুয়েকটি রিকশা ও মোটরসাইকেল হেলেদুলে পার হলেও মাঝারি বা ভারী যানবাহন চলাচলের কোনো কায়দা নেই।

৬০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট প্রস্তের এই সেতুটি এলাকাবাসীর কাছে ধোপা বাড়ির পুল হিসেবে পরিচিত। সেতুটির পূর্ব দিকে বড়গোপালদী ও মাছুয়াখালী গ্রাম হয়ে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত কংক্রিটের পাকা সড়ক রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে বড়গোপালদী বাজার হয়ে বেতাগী সানকীপুর ইউনিয়য়ের বেতাগী বাজার হয়ে দশমিনা-পটুয়াখালী আঞ্চলিক সড়ক পর্যন্ত পাকা সড়ক। দক্ষিণ দিকে তাফালবাড়ীয়া, খারিজা বেতাগী, জমির মৃধা বাজার, মীর মদন, নয়াভাঙ্গলী হয়ে আলীপুরা ইউনিয়ন সদর পর্যন্ত পাকা সড়ক। বিকল্প সড়কে এসব এলাকায় মাঝারি ও ভারী যানবাহনে মালামাল পরিবহন করতে ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হয়।

সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, লোহার অ্যাংগেল এবং কাঠের স্লাব দিয়ে নির্মিত সেতুটির উপরের বিভিন্ন অংশের কাঠের তক্তা ভেঙে পরে বড় বড় ফাঁকার সৃষ্টি হয়েছে। দু-একটি রিকশা বা মোটরসাইকেল সেতুর উপরে উঠলেই সেতুটি ঠক ঠক করে কাঁপতে থাকে। সেতুটির দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের অবস্থাও খারাপ। সিঙ্গেল ইটের সলিং দিয়ে নির্মাণ করার কারণে ইটগুলো মাটিতে দেবে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বড়গোপালদী গ্রামের জাফর আহমেদ মোল্লা বলেন, তিনটি পাকা সড়কের মিলনস্থলে হওয়াতে এই এলাকার জন্য ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি দুর্বল হওয়ার কারণে এই রাস্তায় সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।

জাফরাবাদ গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ এবং শিশুদের এই ব্রিজ দিয়ে আসা-যাওয়া করতে খুবই কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে এরা দুর্ঘটনার কবলেও পড়ে। বৃদ্ধদের হাত ধরে এবং শিশুদের কোলে করে এই সেতুটি পার করতে হয়।

বেতাগী সানকীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ঝন্টু বলেন, এলাকা ভিত্তিতে ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ হওয়া দরকার।

দশমিনা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার (এলজিইডি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ করার জন্য তিনটি দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *