শিরোনাম

ড্রোন-আর্টিলারি-বোমা হামলায় বাঁচার কোন জায়গা নেই গাজায়

Views: 14

চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে, মধ্য গাজা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নুসিরাত শরণার্থী শিবিরের ওপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। শনিবার (২ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইসরায়েলি ফাইটার জেট আকাশ থেকে বোমাবর্ষণের পাশাপাশি আর্টিলারি আক্রমণ চালাচ্ছে এবং ড্রোন ব্যবহার করে বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন মনে হলেই ড্রোন থেকে গুলি করা হচ্ছে। যদি কেউ গুলির আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়, তাহলে আর্টিলারি হামলা হয়, এবং এরপরও বেঁচে থাকলে বোমাবর্ষণের মাধ্যমে তাদের নির্মূল করা হচ্ছে।

বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন, যেখানে বেসামরিক লোকজন বসবাস করছে, সেগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। গাজাবাসীরা নুসিরাত শরণার্থী শিবির থেকে দেইর আল-বালাহ ও মাগাজিসহ অন্যান্য শহরে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে, তবে তাতেও কোনো লাভ হচ্ছে না। কারণ, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কোয়াডকপ্টার ড্রোন এবং স্থল বাহিনী দিয়ে এ ধরনের এলাকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে।

উত্তর গাজার বেইট লাহিয়াতে তীব্র বোমা হামলার ফলে এলাকা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়েছে। খাবারের সঙ্কট ও বিমান হামলার আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা নিজেদের বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করে চলেছে।

জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর সিনিয়র কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ জানিয়েছেন, মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে দিন পার করছে। যেটুকু খাবার পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোর জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। খাবারের অভাবে অনেকেই অশ্রুসিক্ত নয়নে অপেক্ষা করছেন।

ওয়াটারিজ বলেন, “এখানে পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, একটি আটার বস্তা নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সবাই না খেয়ে মারা যাবেন।”

গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় দু’টি বহুতল ভবনে হামলা চালানো হয়েছে, এতে ৫০ শিশুসহ কমপক্ষে ৮৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *