বহুল প্রতীক্ষিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
এই নির্বাচনেই ঠিক হতে চলেছে, কে হচ্ছেন সাদা বাড়ির বাসিন্দা । জনমত জরিপ অনুযায়ী, দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবার। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচন যেন ভোটের লড়াই নয়, স্নায়ুযুদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কারা?
অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট-এর দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজয়ী হলে তিনিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়সি প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে চারটি ছোট দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট দেয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা। তারা হলেন জিল স্টেইন (গ্রিন পার্টি), চেইস অলিভার (লিবারটারিয়ান পার্টি), রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র (স্বতন্ত্র, নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও এখনো বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে তার নাম রয়েছে), করনেল ওয়েস্ট (স্বতন্ত্র)।
ভোটার সংখ্যা
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ কোটি ১৪ লাখ। এদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী। এবারের নির্বাচনে নারীরা ভোটের মাঠে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছেন। ভোট ফেরত জরিপ বলছে, আগাম ভোটে পুরুষের তুলনায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ নারী ভোটার বেশি ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু
এবারের মার্কিন নির্বাচনে প্রাধান্য পাচ্ছে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থান, গর্ভপাত, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অভিবাসন এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন।
এদিকে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে পেনসিলভানিয়াই নির্ধারণ করবে কে পাবে হোয়াইট হাউজের চাবি। এর অন্যতম কারণ এটি একটি বড় অঙ্গরাজ্য। এর রয়েছে ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ। সবমিলিয়ে এই রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যে পক্ষে যাবে, সে পক্ষই জিতবে এমন একটা কথা বলছেন প্রায় সকলেই। তবে উল্লেখ করতেই হয় ২০১৬ ও ২০২০ দুই ভোটেই পেনসিলভেনিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজের সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ছিলো