চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বাংলা গানের অমর শিল্পী এন্ড্রু কিশোর, যার কণ্ঠে মুগ্ধ করেছেন লাখো শ্রোতা, ২০২০ সালের ৬ জুলাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। তার অসাধারণ কণ্ঠের প্রতিভা তাকে এনে দিয়েছে “প্লেব্যাক সম্রাট” উপাধি। জীবনের ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে সংগীতের ভুবনে রাজত্ব করেছেন তিনি। তার কণ্ঠে প্রাণ পেয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় গান, যা আজও শ্রোতাদের মনে গভীর ছাপ রেখে চলেছে।
এন্ড্রু কিশোরের সান্নিধ্যে আসা জনপ্রিয় শিল্পী কনক চাঁপা সম্প্রতি তার জন্মদিন উপলক্ষে প্রিয় শিল্পী ও সহকর্মীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে কনক চাঁপা তুলে ধরেন এন্ড্রু কিশোরের অনুপস্থিতির কারণে সংগীত ভুবনে তার অনুভূতি এবং তাকে ঘিরে অম্ল-মধুর স্মৃতির কথা। তিনি বলেন, “এন্ড্রু কিশোর ছিলেন আমাদের গানের সোনালি নদী। তার কণ্ঠ যেন সর্বত্র বয়ে চলছে, তার গানে আকাশ-বাতাস সুরে ভরে গেছে।”
কনক চাঁপার কথায় ফুটে ওঠে এই অমর শিল্পীকে হারানোর গভীর বেদনা। তিনি বলেন, “তার গান বাংলাভাষী মানুষের হৃদয়ের গভীরে গেঁথে আছে। প্রতিনিয়ত তার গান কেউ না কেউ শুনছে, গাইছে, অথবা গবেষণা করছে। আমার মনে হয়, সারা পৃথিবীতে বাংলাভাষীদের মনে তিনি অমর হয়ে আছেন।”
তবে তার অভাববোধের পাশাপাশি কনক চাঁপা প্রশ্ন তোলেন—এন্ড্রু কিশোরকে কি সমাজ, রাষ্ট্র যথাযথ সম্মান দিয়েছে? তিনি বলেন, “আমরা কি সত্যিই তার মূল্যায়ন করেছি? স্টেডিয়ামে রাতভর তার গান শোনানোর মতো একটি বিশাল অনুষ্ঠান করা কি সম্ভব নয়? তার চলে যাওয়ার পর আমরা অনেকবার বলেছি, এ এক অপূরণীয় ক্ষতি! কিন্তু তার এই প্রাপ্য মর্যাদা এবং স্মৃতির প্রতি প্রকৃত সম্মান কি আমরা সত্যিই দিয়েছি?”
রাজশাহীতে ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করা এন্ড্রু কিশোর তার অসাধারণ প্রতিভার জোরে দেশের সংগীতাঙ্গনে অনন্য এক স্থান দখল করেছিলেন। আজও তার গানের সুর প্রতিটি শ্রোতার মনে বেজে ওঠে। কনক চাঁপাসহ ভক্তরা আশা করেন, তাকে আরও সম্মানের সাথে স্মরণ করার ব্যবস্থা করা হবে।