ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে বিএনপির কিছু দায়িত্বশীল নেতার বক্তব্য আমি দেখেছি, যারা এর বিরোধিতা করেছেন। তাদের কথার সঙ্গে আমি একমত। কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে কাগজে-কলমে নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করলেও, বাস্তবে তা নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। ছাত্রলীগের ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য।
ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক সময় রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা ওঠানামা করেছে। ১৯৭৫ সালের পর যখন প্রথম নির্বাচন হয় এবং ১৯৭৯ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের সময় অনেকেই বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমে গেছে। তবে সে সময়ও আওয়ামী লীগ ৩৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। আজকে বাংলাদেশে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে একেবারেই ‘অলীক কল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অলীক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয় যে কেউ আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাববেন।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল এবং এটি বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন পেয়ে এসেছে।
এ সময় তিনি ছাত্রলীগের কার্যক্রম এবং সংগঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো যুক্তি না থাকার কথাও তুলে ধরেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক মতামত এবং দলের কর্মকাণ্ড স্বাধীনভাবে চলতে থাকবে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, আর যে কেউ এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছেন, তারা বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন।