চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: বর্তমান সময়ে গ্যাসের চুলা রান্নার জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ও সহজলভ্য উপায় হলেও এর মাধ্যমে বায়ুদূষণ ঘটতে পারে, যা শ্বাসকষ্টজনিত রোগের অন্যতম কারণ হতে পারে। এক সময় মাটির চুলা, কাঠের চুলা, স্টোভ ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রামবাংলার ঘরে খাবার রান্না হতো। কিন্তু আজকাল গ্যাসের চুলার সহজলভ্যতার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তবে এই চুলা ব্যবহারে তৈরি হওয়া দূষিত গ্যাস শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং হাঁপানিজনিত সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গবেষণা অনুযায়ী, গ্যাসের চুলা ব্যবহারের ফলে রান্নাঘরের বাতাসে কার্বন মনো অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, বেনজিন ফরমালডিহাইডসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়। এসব উপাদান শিশুদের হাঁপানিজনিত রোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
গ্যাসের চুলার স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে করণীয়:
১. রান্নাঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন, চিমনি বা এক্সহস্ট ফ্যান লাগান।
২. রান্নাঘরের জানালা বা দরজা খোলা রাখুন।
৩. ইলেকট্রনিক কুকার বা হিটারের ব্যবহার বাড়াতে পারেন, যা গ্যাস চুলার তুলনায় কম ক্ষতিকর।
৪. রান্নার গ্যাসের চুলা ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং শিশুদের দূরে রাখুন।
বায়ুদূষণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই ছোট ছোট সতর্কতাগুলি আপনাকে ও আপনার পরিবারকে দূষণজনিত রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস