চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: সরকার বাজার থেকে প্রতি কেজি সেদ্ধ চাল ৪৭ টাকা এবং ধান ৩৩ টাকা দরে কিনবে। এছাড়া, ৪৬ টাকা কেজি দরে আতপ চাল সংগ্রহ করবে সরকার।
৬ নভেম্বর সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকটি সভাপতিত্ব করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার চাল ও গমের যতটুকু মজুত রয়েছে, তার চেয়ে কিছুটা বেশি সংগ্রহ এবং আমদানির নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ধান ও চাল সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করেছি। সেগুলি যেন ভোক্তা ও কৃষকদের জন্য যুক্তিপূর্ণ হয়, এবং বাজারে এর থেকে বেশি ব্যবধানে বিক্রি না হয়। এর ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যেন কোনোভাবে সুবিধা না নিতে পারে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
এছাড়া, তিনি জানান, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও আমদানি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘‘আমরা যতটুকু মজুত আছে, তাতে কিছুটা বাড়তি সংগ্রহ করতে বলেছি, যাতে রমজান বা পরবর্তী সময়ের জন্য কোনো সমস্যা না হয়।’’ তিনি খাদ্য দ্রব্যের মনিটরিং ব্যবস্থার উপর গুরুত্ব দেন, এবং জানান যে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি আমদানি বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান জানান, সরকার আসন্ন আমন মৌসুমে ৩.৫ লাখ টন ধান, ৫.৫ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহ করবে। তিনি বলেন, ‘‘এই সংগ্রহ শুরু হবে ১৭ নভেম্বর থেকে এবং চলবে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১৭ নভেম্বর থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত।’’
এদিকে, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন গম এবং ভারত থেকে ৫০ হাজার টন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। এর জন্য মোট ব্যয় হবে ৪৬৭ কোটি টাকা। গমের প্রতি টন দাম ধরা হয়েছে ৩০১.৩৮ মার্কিন ডলার এবং বাসমতি চালের প্রতি টন দাম ৪৭৭ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া, বৈঠকে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানানো হয়। খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘‘আমরা সব সময় চেষ্টা করি, চালের দাম যেন নির্ধারিত দরের মধ্যে থাকে এবং ভোক্তাদের স্বার্থ যেন ক্ষুণ্ণ না হয়।’’
এছাড়া, সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও দেশের খাদ্য মজুত এবং আমদানির পথ সুগম করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।