চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক :: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পেঁয়াজ আমদানির ওপর থেকে শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বুধবার এনবিআর পেঁয়াজ আমদানির শুল্ক-কর প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পেঁয়াজ আমদানির ওপর প্রযোজ্য মোট করভার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।
এনবিআর এর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়বে এবং বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। ফলে, পেঁয়াজের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে, এমনটা আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এক মাস ধরে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে, আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সম্প্রতি এনবিআরকে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছিল, যাতে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এনবিআরের শুল্ক-কর প্রত্যাহারের ফলে পেঁয়াজের দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে আসবে এবং ভোক্তাদের জন্য পণ্যটির প্রাপ্যতা বৃদ্ধি পাবে। এনবিআর এর এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এমনটা আশা করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন, যার ৭৫-৮০ শতাংশ স্থানীয় উৎপাদন দ্বারা পূর্ণ হয় এবং বাকিটা আমদানির মাধ্যমে পূর্ণ হয়। তবে, ভারতে উৎপাদন কম হওয়ায় প্রতিবেশী দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি শিথিল করেছে। এখনো তারা ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক রাখছে, যার কারণে পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ছে। এনবিআরের এই পদক্ষেপে পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।