বিশেষজ্ঞরা বলেন, বৈদ্যুতিক যান (ইলেকট্রিক ভেহিকেল বা ইভি) শিল্পের অগ্রগতির জন্য সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট নীতি সহায়তা, গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং প্রযুক্তি অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে।
৮ নভেম্বর, শুক্রবার, রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) “বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্প: নীতি-চ্যালেঞ্জ-সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড সেমিনারটি আয়োজন করে। এই সেমিনারের মাধ্যমে, গতকাল রাজধানীর কুড়িলে আইসিসিবিতে তিন দিনব্যাপী বিইভিএমএক্স-২০২৪ এবং বিমেক্স-২০২৪ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীও উদ্বোধন করা হয়।
এতে বক্তারা বাংলাদেশের পরিবহন খাতের ভবিষ্যৎ টেকসই উন্নতির দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী সেমিনারে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, “ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিভিন্ন দেশে ইভির ব্যবহার রয়েছে। নরওয়ে এবং সুইডেনে প্রায় ৮০% গাড়ি ইভি এবং চীনে ২৫%। এ শিল্পে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। বাংলাদেশে ইভি শিল্পের বিকাশের জন্য প্রচুর গবেষণা এবং সক্ষমতা তৈরির পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট নীতির প্রয়োজন। চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শের দরকার।” সচিব আরও জানান যে, শিল্পটির উন্নয়ন নিয়ে তিনি এনবিআর ও শুল্ক বিভাগসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মোবিলিটি অ্যাসোসিয়েশনের (বিইএমএ) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ, বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমএ) সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, আকিজ গ্রুপের পরিচালক ও আকিজ মোটরসের সিইও এসকে আমিনুদ্দিন, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উপাচার্য ড. মো. আশরাফুল হক, বুয়েটের অধ্যাপক মো. এহসান, এনসেক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাহসিন আমান, ব্লু সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমা জাহান বিন্তি, সেভর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাইজুল আলম প্রমুখ।
প্রদর্শনীতে ১৫টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মোট ১৮০টিরও বেশি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী প্রদর্শনীটি দেখছেন।
প্রদর্শনীটি ৭ থেকে ৯ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত আছে।