ত্বক সুন্দর রাখতে নানা ধরনের স্কিন কেয়ার পণ্য ব্যবহার করা হয়, কিন্তু কি জানেন, ত্বকের সুস্থতা সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উপর অনেকটা নির্ভরশীল? ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাইরের সৌন্দর্যচর্চা নয়, অভ্যন্তরীণ যত্নও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে অন্ত্রের সুস্থতা ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা অনেকেই জানেন না।
অন্ত্রের স্বাস্থ্যের প্রভাব ত্বকে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্ণ রাজন তার এক ভিডিওতে জানিয়েছেন, রঙিন ফল ও শাক-সবজি খাওয়ার ফলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ত্বকেও এর সুপ্রভাব পড়তে শুরু করে। বিশেষ করে টমেটো, বেল পেপার, গাজরের মতো খাবারগুলো অন্ত্রের জন্য উপকারী। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বাড়ায় এবং ত্বককে সোনালী আভা দেয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশুর একজিমা রয়েছে, তাদের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ঘাটতি থাকে, আর প্রোবায়োটিকসের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ানো হলে তাদের চামড়ার অবস্থার উন্নতি হয়।
প্রিবায়োটিকস ও ত্বকের যত্ন
ডা. রাজন আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে, প্রিবায়োটিকস জাতীয় খাবার ত্বকের জন্য ভালো। এই ধরনের খাবারে কিছু নির্দিষ্ট উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়ায়, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগের উৎপাদন বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে।
ফল ও শাকসবজি ত্বকের জন্য কীভাবে উপকারী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রঙিন শাকসবজি ও ফলের মধ্যে উচ্চ প্রিবায়োটিকস এবং ভিটামিন এ, সি, ও ই থাকে, যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। এই খাবারের পুষ্টি ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। আদা, পেঁয়াজ, কলা ইত্যাদিও প্রিবায়োটিকস উপাদানে সমৃদ্ধ, যা ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।
পেটের যত্ন নিলে ত্বকও থাকবে সুস্থ
পেটের যত্ন নেওয়া ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যে কোন সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে খাদ্যতালিকা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে ত্বক এবং অন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।