স্বাস্থ্যবিষয়ক খবরে জানা যায়, রক্তচাপ বা প্রেশার মাপা এক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যপরীক্ষা, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা অনেকেই জানি না, কত বছর বয়স থেকে নিয়মিত রক্তচাপ মাপা উচিত। এই বিষয়ে ভারতীয় চিকিৎসক ডা. রুদ্রজিৎ পাল পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রেশার বাড়লে একাধিক শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, তাই প্রাথমিকভাবে তা ধরা জরুরি।
রক্তচাপের ধরণ এবং তার গুরুত্ব
রক্তচাপ দুই ধরনের হয়— সিস্টোলিক (উপরে) এবং ডায়াস্টোলিক (নীচে)। যদি সিস্টোলিক প্রেশার ১৩০ বা ডায়াস্টোলিক প্রেশার ৮০-এর বেশি হয়, তাহলে তা উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে গণ্য হয়। তবে একদিনের রিডিং অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়া যায় না, তাই তিনদিন পর পর রিডিং নিয়ে তা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে রক্তচাপের সঠিক অবস্থা বোঝা সম্ভব।
কত বয়সে রক্তচাপ মাপা উচিত?
ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন, “আজকাল অনেক তরুণ বয়সেও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই ২০ বছর বয়স পেরোলেই একবার রক্তচাপ মাপা উচিত। এবং যদি ৩০ বছর বয়স অতিক্রম করে, তাহলে প্রতি ৬ মাস অন্তর নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি।” এই নিয়ম মেনে চললে রোগটি প্রথম অবস্থায় ধরা পড়বে এবং তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।
ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা
যারা অতিরিক্ত ওজনের শিকার এবং বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ইত্যাদিতে ভুগছেন, তাদের রক্তচাপের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া, যদি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই রোগের ইতিহাস থাকে, তবে তাদেরও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি।