চুল পড়ার সমস্যা এখন শুধু বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, তরুণদের মধ্যেও এই সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। অনেক পুরুষেরই এখন অল্প বয়সে টাক পড়া শুরু হয়ে যায়, যা তাদের জন্য চিন্তার বিষয়। যখন চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে এবং নতুন চুল গজায় না, তখনই টাক দেখা দেয়। সাধারণত বয়স পঞ্চাশ পার হলে পুরুষদের মধ্যে টাক পড়া শুরু হয়, তবে এর আগেও অনেকের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই সমস্যার পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে? চলুন, বিস্তারিত জেনে নিই।
জেনেটিক কারণ:
টাক পড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল জেনেটিক বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। যদি দাদা বা বাবা-চাচাদের মধ্যে টাক পড়ার সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের সন্তানদেরও একই সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা মূলত পরিবার থেকে আসে এবং এর প্রতিকার সহজ নয়। তবে কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা নিতে পারেন, কিন্তু পুরোপুরি প্রতিকার পেতে অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
পুষ্টির অভাব:
চুলের স্বাস্থ্য সঠিক পুষ্টির উপর অনেকটা নির্ভরশীল। যদি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকে, তবে চুল দুর্বল হয়ে পড়তে পারে এবং পড়তে শুরু করে। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফ্যাটের মতো পুষ্টিকর খাবার চুলের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আয়রন, জিংক, ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ খাবার চুলের গঠন মজবুত করে এবং টাক পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
স্ট্রেস:
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যখন মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, তখন চুল পড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। যারা একটানা চাপের মধ্যে থাকেন, তাদের চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় এবং চুল পড়তে থাকে। স্ট্রেস কমানোর জন্য নিয়মিত ধ্যান বা শিথিলকরণ প্রক্রিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
দূষণ:
পরিবেশ দূষণের কারণে চুলের স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। অতিরিক্ত তাপ, ঠান্ডা, তীব্র রোদ, ধুলোবালি বা আর্দ্রতা চুলের ক্ষতি করতে পারে। যারা দূষিত অঞ্চলে বসবাস করেন, তাদের চুল পড়ার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। চুলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দূষণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।