পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরকচুয়া গ্রাম থেকে শুক্রবার ও শনিবার দুই দফায় ৬টি গরু উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। স্থানীয়দের ধারণা, এগুলো চোরাই গরু হতে পারে। গরুগুলোর প্রকৃত মালিক এখনো শনাক্ত হয়নি, তবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন তাদের সন্ধান করছে।
স্থানীয়দের মতে, শুক্রবার রাতে চরকচুয়া গ্রামে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬টি গরু দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে তারা দুটি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পরে গ্রাম পুলিশকে খবর দিলে তারা গরু দুটি উদ্ধার করার জন্য স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে তা উদ্ধার করেন। এরপর শনিবার (১০ নভেম্বর) আরো ৪টি গরু উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, গরুগুলোর চুরি করে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছিলো।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক সোহেল আহমেদ বলেন, “এখানে দীর্ঘদিন ধরে গৃহপালিত পশু চুরির ঘটনা ঘটছে। এর আগে একাধিক ব্যক্তি চোরাই পশুসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলো।” তিনি আরও জানান, “এখন ইউনিয়নের মানুষ কিছুটা নিরাপদ মনে করলেও, এই নতুন ঘটনা আবারও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।”
স্থানীয় দফাদার কবির জানান, “শুক্রবার রাতে স্থানীয়রা দুটি গরু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমার কাছে রেখে যায়, পরে শনিবার আরও চারটি গরু পুলিশ উদ্ধার করে আমার কাছে জমা দেয়।”
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলাল সিকদার জানান, “বাউফল থানার ইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন স্যার গত শনিবার দুটি এবং আজ (রবিবার) চারটি চোরাই গরু আমার কাছে রেখে যান। গরু গুলোর প্রকৃত মালিক না পাওয়ায়, তাদের পরিচর্যা ও দেখাশোনার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে।”
বাউফল থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, “গরুর প্রকৃত মালিকের খোঁজে অনুসন্ধান চলছে এবং পশু চুরি সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করছে পুলিশ।”
মো: আল-আমিন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম