বরিশালে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জাটকা ইলিশের পাইকার তুহিন সিকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতের ঘটনায়, তুহিন সিকদারসহ তার সহযোগী রাব্বি সাংবাদিককে মারধর এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক হন। শনিবার দুপুরে বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার বিরুদ্ধে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর, ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তালতলি বাজার এলাকার লামছরী থেকে মা ইলিশ পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে জাতীয় দৈনিক *দেশ প্রতিদিন* পত্রিকার প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে যান। সংবাদ সংগ্রহের সময় তুহিন সিকদার এবং তার সহযোগী রাব্বি সাংবাদিকের ওপর হামলা চালান। হামলার সময় সাংবাদিকের মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। শুধু মারধর নয়, সাংবাদিকের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্রও ছিনতাই করা হয়।
এই ঘটনায় ১৬ অক্টোবর কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়, এবং ২০ অক্টোবর তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এরপর তদন্ত এবং আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। শুক্রবার রাতেই কাউনিয়া থানা পুলিশ তুহিন সিকদারকে নগরীর বেলতলা মাহমুদিয়া মাদরাসার সামনে থেকে আটক করে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম জানান, তুহিন সিকদারের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে এবং শনিবার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। অপর আসামী রাব্বি এখনও পলাতক রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুহিন সিকদার উত্তর আমানগঞ্জ এলাকার মৃত আলম সিকদারের ছেলে এবং একটি চিহ্নিত জাটকা ব্যবসায়ী কালুর মেয়ে জামাই। অপরদিকে, রাব্বির বাবা উত্তর আমানগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা হলেও তিনি পদ্মাবতী রোডের নাছির মোল্লার দোকানে কর্মচারী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয়দের মতে, তুহিন ও রাব্বি বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। শুধু জাটকা পাচারই নয়, তারা মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে আটক হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
এদিকে, ২০ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয় যার মামলা নম্বর জি আর ১২/২৪। পুলিশ জানিয়েছে, তুহিন সিকদারের গ্রেফতারের পর তদন্ত চলছে এবং রাব্বি গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলবে। মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম