পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের উদ্যোগে “সকলে মিলে ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা” শীর্ষক গ্লোবাল ক্লাইমেট টক-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে এই দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ বিজ্ঞান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ নুরুল আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ, এবং ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জিওমার্ক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এ এন এম সফিকুল আলম, এবং আন্তর্জাতিক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএস গ্রিন চেম্বার অফ কমার্স এর সিইও মিশেল থ্যাচার। তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও তা মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানটির পর অংশগ্রহণকারীরা জলবায়ু সম্পর্কিত প্রদর্শনী ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন উপভোগ করেন, যেখানে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের অভিজ্ঞতার প্রতি আলোকপাত করা হয়।
ড. এ এন এম সফিকুল আলম বলেন, “২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ১০-১৫ শতাংশ শস্য উৎপাদন হ্রাস পাবে। উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর প্রতিকার হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তি ও সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।”
মিশেল থ্যাচার বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ ছিল বিশ্বের উষ্ণতম বছর। তাই জলবায়ু নিয়ে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
পবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। সুতরাং টেকসই উন্নয়ন এবং দুর্যোগ প্রশমন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।”
এই অনুষ্ঠানে বক্তারা নবায়নযোগ্য শক্তি এবং সবুজ প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।