শিরোনাম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সমবায়ের নামে প্রতারণা

Views: 117

 

মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আল আমিনের বিরুদ্ধে সদস্যদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঋণ বিতরণের বিপরীতে গচ্ছিত ব্লাংক চেক ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করে মামলা দিয়ে সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন। পরে তারা সমবায় সমিতির সভাপতির শাস্তি এবং তার হয়রানি থেকে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন নাজমা আক্তার, মো. জয়নাল সিকদার, মো. কাসেম, বাদল সিকদার, লিটন সিকদার হিরোন মৃধা ও জসিম আকন। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারসহ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা জানান, আল আমিনের হয়রানি শিকার হয়ে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে এবং অনেকে এলাকা ছাড়া হয়েছে।

ইউপি সদস্য আব্দুর রব বলেন, সমিতির সভাপতি আল আমিনও ইউপি সদস্য। সে কাউকে সম্মান করে না। হঠাৎ টাকার গরম হয়েছে। এক প্রতিবন্ধী তার সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে মারা গেছে। তারপরও সে ঋণ মাফ করেনি। উল্টো তার ছেলেকে চাপ দিয়ে জায়গা জমি ও বউয়ের সোনার গহনা বিক্রি করে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে। আরও এক লাখ টাকা দাবি করে।

ভুক্তভোগী বাদল সিকদার জানান, সমিতি থেকে ছয় লাখ টাকা লোন নিয়েছি। এই লোন নিতে সমিতির সভাপতি আল আমিন আমার কাছ থেকে স্বাক্ষরিত তিনটি ব্লাঙ্ক চেক ও তিনটি স্ট্যাপ গচ্ছিত রাখেন। লোন পরিশোধ হওয়ার পরও ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দেননি আল আমিন। উল্টো সাড়ে বিশ লাখ টাকার মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এখন আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

প্রায় একই অভিযোগ করেন আরেক ভুক্তভোগী নাসির।

ভুক্তভোগী শ্যামল চন্দ্র বলেন, আমিও লোন নিয়ে স্ট্যাপ দিয়েছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে এই আলামিন। এদিকে ব্লাঙ্ক চেক দিয়ে ভয়ে আছেন সমিতি থেকে লোন গ্রহীতা মামুন।

তবে আল আমিন জানায়, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুয়া। আমার সমিতিতে চাকরি করত, সমিতির টাকা তসরুপ করে ধরা পড়ার পরে চেক দিয়েছেন। সে চেক ডিজঅর্নার হয়ে মামলা হয়েছে। সে জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে এখন আমার বিরুদ্ধে এসব করছেন।’

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *