মো:আল-আমিন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকিতে এলজিইডির প্রকল্পে গ্রামীণ একটি সড়কের নির্মাণ কাজ বছরের পর বছর ধরে ফেলে রাখায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। উপজেলা শহর কানেক্টিং সড়কটির অন্তত এক কিলোমিটার পাকা করণের অজুহাতে এভাবে হেরিং বন্ড তুলে মাঝে মাঝে ইট-সুরকির স্তূপ করে ফেলে রাখায় এবং পরবর্তী এক কিলোমিটার বালু ভরাটের জন্য রাস্তা খুঁড়ে দুপাশে মাটির লাইন করায় পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি বেড়েই চলছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে থানা ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের হাফিজী মাদ্রাসা থেকে পশ্চিম শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এইচবিবির রাস্তার প্রথম ধাপে এক কিলোমিটার পাকাকরণের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি।
পটুয়াখালীর পল্লী স্টোর্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে ওই বছরের মার্চ মাসে এইচবিবির ইটগুলো তুলে বালু ভরাট ও মেকাডামের জন্য পুরো রাস্তায় মাঝে মাঝে ইট-সুরকির স্তূপ দিয়ে নির্মাণকাজ প্রায় সাড়ে তিন বছর ফেলে রাখে। এতে সড়কটিতে জনচলাচল মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি দ্বিতীয় ধাপের এক কিলোমিটারের কাজ শুরু করে এ অংশের ইট তুলে রাস্তা কেটে বালু ভরাটের অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি বর্ষায় কাদা-পানিতে একাকার হয়ে পুরো দুই কিলোমিটার সড়কই এখন জনচলাচলের অযোগ্য।
এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি এখন চরম আকারে ধারণ করেছে।
ওই সড়ক এলাকার বাসিন্দা পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শামিম খান বলেন, কাদা-বৃষ্টিতে একাকার সড়কে হেঁটে চলাচলের কোনো জো নেই। দীর্ঘদিন ধরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী থাকায় অসুস্থরা এখন হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার অবহিত করলেও ইতিবাচক কোনো ফল দেখছি না।
নির্মাণ কাজ ফেলে রাখার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘পল্লী স্টোর’ স্বত্বাধিকারী গোলাম সরোয়ার বাদলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লাইসেন্স তার কিন্তু কাজটি নিয়েছেন অন্য দুজন। তাদের কাজটি করার জন্য বেশ কয়েক বার তাগিদ দিলেও তারা লোকসানের আশঙ্কায় কাজ করতে আগ্রহী নন। এখন লাইসেন্স বাঁচাতে বৃষ্টি কমলেই কাজটি তিনি নিজেই সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
অভিযোগ সম্পর্কে দুমকি উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং টেন্ডার বাতিল করে রি-টেন্ডার আহ্বানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছি।