পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট দুই মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মেজর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রোববার (১০ নভেম্বর) রাত ১২টা থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ওই ইউনিটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা জানান, কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিটের মেজর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে, যা সম্পন্ন করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে। গত বছর প্রথম ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষে তা পুনরায় উৎপাদনে ফিরবে। এরপর প্রথম ইউনিটের নিয়মিত বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ শুরু হবে, এতে প্রায় ২০-২৫ দিন সময় লাগতে পারে।
পটুয়াখালী পাওয়ার গ্রিডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল নাইম জানান, শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় একটি ইউনিট বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। শীত মৌসুমে পটুয়াখালী জেলার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে মাত্র ৪৫ মেগাওয়াট, যেখানে গ্রীষ্মকালে এ চাহিদা বেড়ে ১০৮ মেগাওয়াটে পৌঁছায়। পাশাপাশি, ডিজেল চালিত ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট থেকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জোবায়ের আহমেদ বলেন, “বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকায় এ সময়টিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা অর্ধেকের নিচে নেমে আসে, তাই এই রক্ষণাবেক্ষণ বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।”
বাংলাদেশ-চায়না বিদ্যুৎ কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পরিচালিত ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২২ সালের মার্চে উৎপাদনে যায়। এটি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, যা জাতীয় গ্রিডে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে।