কপ২৯ সম্মেলনে দেশের জলবায়ু সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে প্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে পৌঁছানোর পরপরই জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সমন্বয় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বাকুর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হবে আমাদের উদ্বেগ ও দাবিগুলোকে কপ২৯-এর চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত করা।”
বাংলাদেশের ভূমিকা ও প্রস্তুতি
পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ এ সমন্বয় সভায় বাংলাদেশের অবস্থান ও বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিনিধিদের অবহিত করেন। তিনি জানান, জলবায়ু অর্থায়ন, ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ, এবং শুধুমাত্র রূপান্তর ও অভিযোজন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ নয়টি দল গঠন করেছে। এ ছাড়া, বাংলাদেশের অন্তত ২৯টি এনজিও এবং সুশীল সমাজের সংগঠন এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে।
ফারহিনা আহমেদ আরও বলেন, “গ্লোবাল নর্থের ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এ পর্যন্ত মাত্র ৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান এবং ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা পেয়েছে জলবায়ু অর্থায়ন হিসেবে।”
প্রধান উপদেষ্টার সফর পরিকল্পনা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য অধ্যাপক ইউনূস ১১-১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি সফরে আজারবাইজানে থাকবেন। এ সময় তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাবেন। বিশেষ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে, সেই উদ্বেগগুলো তিনি আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরবেন।
সোমবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) অধ্যাপক ইউনূস বাকুতে পৌঁছান। তিনি মঙ্গলবার কপ২৯-এর মূল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন এবং অন্তত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম
