চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ ‘নগর উন্নয়ন মাশুল’ হিসেবে চেয়ে বলেছেন, এই অর্থ চসিকের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নগরীকে আরও আধুনিক করতে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সিটি করপোরেশন যে সড়ক নির্মাণ করে, সেগুলি বন্দরের ভারী যানবাহন চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সড়ক মেরামতের জন্য চসিকের রাজস্বের একটি বড় অংশ ব্যয় হয়, যা উন্নয়ন কাজের জন্য সীমিত রাখে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘বন্দরকে সচল রাখতে এবং এর পণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় সড়ক নির্মাণে চসিকের অনেক অর্থের প্রয়োজন। যদি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ চসিককে দেয়, তাহলে চসিক অবকাঠামো খাতে আরও বেশি কাজ করতে পারবে, যা শুধু নগর উন্নয়ন নয়, বরং দেশের রাজস্ব আয়ের জন্যও সহায়ক হবে।’’
মেয়র আরও বলেন, ‘‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য কার্যক্রম কেবল হোল্ডিং ট্যাক্স এবং অল্প কিছু খাতের আয় দিয়ে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই বন্দরসহ অন্যান্য খাত থেকে আয়ের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি।’’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান সভায় বলেন, ‘‘পলিথিন ও অন্যান্য বর্জ্য কর্ণফুলী নদীর নাব্যতার জন্য বড় হুমকি। এ নদী রক্ষায় চসিককে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একটি সামগ্রিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।’’
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি এবং বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম