ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০০৭ সালে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, এমন দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির এক পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চায়, “শেখ হাসিনা কোথায়?” জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আছেন এবং ইন্টারপোল ও বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।”
এ সময় ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করার জন্য এক মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেন।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনামলে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যা এবং অন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তিনি।” তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই, যা শেখ হাসিনা করেননি।”
এছাড়া, তিনি জানান, গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এই গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা প্রলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন।
শুনানি শেষে, ট্রাইব্যুনাল ১৩ আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম রয়েছেন।
এদিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে গারদখানা থেকে ১৩ আসামিকে এজলাসে তোলা হয়, এরপর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
মো: তুহিন হোসেন
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চন্দ্রদ্বীপ নিউজ ২৪ ডট কম