২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, ঢাকা শহরের রামপুরা থানার বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালের সামনে সকাল ১০:৩০টায় একটি ঘটনার সময়কাল দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর নাম দীপক ঘোষ, যিনি নিজেকে ওই ঘটনার শিকার বলে দাবি করেছেন। মামলাটি দায়ের করা হয়েছে ঢাকার সি আর মামলা নং ১৮৬/২০২৪ এর অধীনে, যেখানে বাদী হিসেবে দীপক ঘোষ নামক এক ব্যক্তি, যিনি গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত দিলীপ কুমার ঘোষের পুত্র, অভিযোগ করেছেন যে ওই দিনে বনশ্রী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
তবে এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, তাদের জানা মতে এমন কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি এবং উক্ত সময় ও স্থানে কোন ধরনের অঘটনও ঘটেনি। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মামলায় উল্লেখিত বাদী এবং মামলার বিষয়বস্তু সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিশেষ করে, তাদের মতে, মামলার বাদী বা অভিযুক্তদের মধ্যে কেউই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত ছিলেন না।
এছাড়া, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও উক্ত সময় এলাকায় গোলাগুলির কোনো চিত্র ফুটে উঠেনি। এর ফলে অভিযোগ উঠেছে যে একটি প্রতারক চক্র রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বিশেষত, মামলার বাদী স্বনাতনী ধর্মগ্রন্থ ব্যবহার করে এক ধরনের প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বন করেছেন, যা অনেকের মতে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা এই মিথ্যা মামলা থেকে নিরীহ মানুষদের মুক্তি দেওয়ার এবং সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা আরও দাবি করেছেন যে, যারা প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা উচিত এবং যারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তাদেরকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা পেয়েছেন এবং তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এলাকার জনগণ আশা প্রকাশ করেছেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের মাধ্যমে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে, যাতে কোনো নিরীহ নাগরিক প্রতিহিংসার শিকার না হন।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। এলাকাবাসীর আশা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে।